আটলান্টা

আটলান্টার বিভিন্ন স্থানে রামপাল বিরোধী প্রচারাভিযান

atlanta
সুন্দরবন রক্ষায় ঢাকার মহাসমাবেশের সঙ্গে পূর্ণ সংহতি প্রকাশ ও দেশ বিদেশে জনমত গড়ে তোলার অঙ্গীকারে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার বেশ কয়েকটি স্থানে প্রচার অভিযান ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় কমিটির ২৬ নভেম্বর শনিবারের ঢাকার মহাসমাবেশের প্রতি সংহতি জানিয়ে আটলান্টায় ওই দিন একে একে জিমি কার্টার রোডের গ্লোবাল মল, ডাউন টাউনের সেন্টেনিয়াল অলিম্পিক পার্ক ও বিশ্বখ্যাত সিএনএন টেলিভিশন সেন্টারের সামনে এই প্রচার অভিযান ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গণসংহতি আন্দোলন ও পরিবেশ আন্দোলনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সমাবেশগুলোতে অংশগ্রহণ করে বক্তব্য ও মতবিনিময় করেন ড. নাসির উদ্দিন, আহসান ভূঁইয়া, মোস্তফা জাহিদ, শ্যাম চন্দ, ইলা চন্দ, কাকলি বিশ্বাস, মাহমুদুল খান আপেল ও নুসরাত পিংকি প্রমুখ।
আটলান্টার এই সব সমাবেশে বক্তা ​ও কর্মীরা বাংলাদেশি ও মূলধারার নাগরিকদের মধ্যে সুন্দরবনে বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে পরিবেশের ভারসাম্যহীনতা ও পশুদের জীবন বিপন্ন হওয়ার নানা কারণ দেখিয়ে প্রচারপত্র বিলি করেন। এ ছাড়া এই প্রাকৃতিক নিসর্গের একমাত্র বনভূমিকে রক্ষা করতে ও এর আসন্ন বিপদের কথা উল্লেখ করে নানা বক্তব্য তুলে ধরেন।
সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তারা বলেন, দেশকে মায়ের মতো রক্ষাকারী, বৈচিত্র্যময় প্রাণের আঁধার সুন্দরবনকে প্রাণের বিনিময়ে হলেও রক্ষা করতে হবে। ইউনেসকো কর্তৃক সুন্দরবনের ওপর রামপাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ক্ষতিকর প্রভাবের রিপোর্ট প্রকাশ হওয়ার পরেও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল না করার সিদ্ধান্ত মানেই সরাসরি জনগণের সঙ্গে বিরোধিতা করা।
তারা অবিলম্বে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এ প্রকল্প বাতিলের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান এবং তারা মনে করিয়ে দেন, এই অগণিত আন্দোলনকারী জনগণ কখনোই বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার বিরোধিতা করছে না, তারা শুধু পরিবেশকে রক্ষার করার কারণেই রামপাল থেকে অন্যত্র সুবিধাজনক স্থানে স্থানান্তরের দাবি জানাচ্ছে।
উল্লেখ্য, আন্দোলনকারী কর্মী, সংগঠক ও সমর্থকেরা যখন অলিম্পিক পার্কের সমাবেশের কার্যক্রম শুরু করেন, তখন কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই এলাকাটিতে উৎসুক মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে এবং স্থানীয় মার্কিন নাগরিকদের মধ্যে তা ব্যাপক সাড়া ফেলে। এ সময় অনেকেই সুন্দরবন ও রামপাল সম্পর্কে জানতে চান এবং একাত্মতা ঘোষণা করেন।
সিএনএন টেলিভিশন সেন্টারের সামনে অবস্থানকালে বক্তারা বলেন, সুন্দরবন রক্ষা আন্দোলন এখন শুধু আর বাংলাদেশের আন্দোলন নয়, বিশ্বব্যাপী পরিবেশ রক্ষার আন্দোলনের অংশ। শুধুমাত্র একটি বিদেশি কোম্পানির মুনাফার কারণে সরকার জনগণের মতামতকে উপেক্ষা করে ক্ষতিকর এই বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। বক্তারা জাতীয় কমিটির ডাকে বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলে আহ্বানে সাড়া না দিলে ভবিষ্যতে দেশে বিদেশে ব্যাপক প্রতিবাদ গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, বাঘের মুখোশ ও প্ল্যাকার্ড সংবলিত প্রচার অভিযানের পুরো আয়োজনটি সাধারণ পথচারী নাগরিকদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়।