আমেরিকা-বাংলাদেশ সম্পর্ক

ব্রিকস-বিমসটেকে তিন প্রস্তাব শেখ হাসিনার

উঠতি অর্থনীতির দেশগুলোর জোট ব্রিকসের সঙ্গে বঙ্গোপসাগরীয় আঞ্চলিক জোট বিমসটেকের সদস্যদেশগুলোর মেলবন্ধনে তিনটি প্রস্তাব দিয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার ভারতের গোয়ায় অনুষ্ঠিত এই দুই সংগঠনের ‘আউটরিচ’ শীর্ষ সম্মেলনে তিনি এসব প্রস্তাব তুলে ধরেন।

এ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যাবতীয় টেকসই উন্নয়নের প্রচেষ্টা নির্ভর করছে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর। সন্ত্রাস ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আমাদের সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। এ বিষয়ে বাংলাদেশে আমরা শূন্য সহনশীলতার (জিরো টলারেন্স) নীতি গ্রহণ করেছি।’

ব্রিকসের সদস্যদেশগুলো (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) বিমসটেকের সদস্য দেশগুলোর (ভারত, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, নেপাল ও ভুটান) তুলনায় অর্থনৈতিক দিক থেকে অনেকটাই উন্নত। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে ব্রিকসের মেলবন্ধন ঘটানো গেলে অর্থনীতির পাশাপাশি পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রও বিস্তার লাভ করবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা এই প্রস্তাব দেন।

শেখ হাসিনার প্রথম প্রস্তাব উন্নতমানের অবকাঠামো নির্মাণে যত্নবান হওয়া। দ্বিতীয়টি হলো বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং তার মধ্য দিয়ে উদ্ভাবনী ক্ষমতার বিকাশ। আর তৃতীয় প্রস্তাবে বলেছেন, ব্রিকস ও বিমসটেক অর্থনৈতিক উন্নয়নে পরস্পরের দিকে হাত বাড়িয়ে দিতে পারে। এতে করে আর্থিক দিক থেকে কম উন্নত দেশগুলো অগ্রগতির সোপানে আসতে পারবে। তিন প্রস্তাবের পাশাপাশি তাঁর সাবধানবাণী—সব প্রচেষ্টাই বিফলে যাবে, যদি সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় হাতে হাত মিলিয়ে কাজ না করা যায়।