একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিসহ ১০ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিউ ইয়র্কে ‘আন্তর্জাতিক গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস’ পালন করেছে যুক্তরাষ্ট্রস্থ ‘জেনোসাইড ৭১ ফাউন্ডেশন’। গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে জুইশ সেন্টার মিলনায়তনে উক্ত কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
গণহত্যাকবলিত বিভিন্ন দেশের দাবি, গণহত্যায় নিহতদের স্মরণ, মর্যাদা দানের প্রেক্ষিত বিবেচনা এবং হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের সুপারিশক্রমে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ এ দিনকে ‘গণহত্যা স্মরণ ও প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
গণহত্যায় নিহতদের স্বরণ ও মর্যাদা দান, গণহত্যা প্রতিরোধে বিশ্ব জনমত গঠনের প্রত্যয়ে ‘জেনোসাইড ৭১ ফাউন্ডেশন’ এর দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে একাত্তরে বাংলাদেশে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সংঘটিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি, পাক হানাদার বাহিনীর ১৯৫ জন যুদ্ধাপরাধী সেনা কর্মকাণ্ডের বিচার, পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশের পাওনা ৩৭ হাজার কোটি টাকা, সম্পদের শেয়ার, গণহত্যা, নারী নির্যাতন ও নারীর সম্ভ্রমহানির ফলে জন্ম নেওয়া যুদ্ধশিশুর দায়ভারসহ ক্ষতিপূরণ।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক জিএস ড. প্রদীপ রঞ্জন করের নেতৃত্বাধীন ‘জেনোসাইড ৭১ ফাউন্ডেশন’ এর এ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম, ফার্স্ট সেক্রেটারি (প্রেস) নূরইলাহি মিনা, নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল শামীম আহসান, একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা জামালউদ্দিন হোসেন, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা গোলাম মোস্তফা খান মিরাজ প্রমুখ।