“আমি তখন ভারতে। আমার মেয়ে পদ্য আমাকে ফোন করল, বাবা আমার স্কলারশিপ হয়ে গেছে। পুনেতে। মা বলেছে, বাবা কী বলেন শোনো। আমি বললাম তুমি যা চাও তাই হবে। সে লাফাতে লাগলল, বাবা রাজি বাবা রাজি। ওকে পুনে ইউনাইটেড ওয়ার্ল্ড কলেজের হোস্টেলে রাখতে গেছি। দু ঘন্টা পরেই সে বলে, আমাকে দেশে নিয়ে চলো। এরপর সুযোগ পেলেই পুনে যেতাম। কলকাতা থেকে আসার সময় প্লেনে হেচকি তুলে কাঁদতাম। এয়ার হোস্টেসরা দৌড়ে আসতেন। কী হয়েছে! বলতাম আমার মেয়েকে রেখে যাচ্ছি। তারা সমব্যথী হতেন। সেই মেয়ে কলেজ শেষ করে অাসার সময় বন্ধুদের জন্য কী যে কেঁদেছিল। ও এখন আমেরিকা ওয়েসলি কলেজে। হিলারির কলেজ। ক্রিয়েটিভ রাইটিং পড়তে চায়। আমি বলি জব পাবি না তো। সে বলে তুমি নিজে কী করেছ! আমার মেয়ে আমার কাজটাকে অশ্রদ্ধেয় ভাবে না। আমি তাতেই খুশি। ওর মা আর ও দুই দেশে বসে একসাথে বাংলাদেশের ক্রিকেট দেখে। বাংলাদেশের জয় উদযাপন করে। মা তো দেশ বোঝেন, ক্রিকেট বোঝে কম। মেয়ে কপট রাগ করে। আমরা এভাবে কানেকটেড থাকি। দুই দেশে এক হৃদয়।”
বাংলাদেশের খ্যাতিমান লেখক আনিসুল হক। “ফেসবুক থেকে নেয়া”