ক্যানসাস

উচিটা ভাসিটিতে বৈচিত্র্যময় খাবারের মেলা

ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অরগানাইজেশনের আয়োজনে ৪ অক্টোবর মঙ্গলবার উচিটা স্টেট ইউনিভাসিটি ক্যাম্পাসে বৈচিত্র্যময় খাবার মেলা (ফল ফিস্ট ২০১৬) হয়ে গেল। সকাল দশটা থেকে দুপুর ২টা পযন্ত এ মেলা চলে।
ব্যতিক্রমী এ মেলায় বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অরগানাইজেশনের ব্যানারে অংশ নেন বাংলাদেশী একঝাঁক আলোকিত ছাত্র। এরা হলেন- নাদিয়া, রাকিব, ইরফান, সিফাত, শামস, মেহনাজ, শুভেচ্ছা, অনাবিল, শাহবাব। চট্টগ্রাম- রাউজানের উচ্ছ্বল-প্রাণবন্ত শিক্ষাথী ইরফান জানান, রাত জেগে ওরা সবাই এসব মুখরোচক খাবার তৈরি করেছেন। বাংলাদেশের স্টলে রাখা মজাদার চটপটি, কাবাব, ম্যাঙ্গো লাচ্ছি নিয়ে সবার আগ্রহের কমতি ছিল না। এসব খাবার নিদিষ্ট সময়ের আগে শেষ হয়ে যায়। ওদিকে হায়দারাবাদি রিরিয়ানী ও দোসা খেতে দীর্ঘ লাইন চোখে পড়ার মত। জাপানের জনপ্রিয় খাবার (Onirgi), প্যারাগুয়ের সুস্বাদু খাবারের তালিকায় ছিল (Chipaguazu) । স্বদেশীয় খাবার খেতে শত-শত শিক্ষার্থী লাইন দিতে দেখা যায়।
ইন্ট্যারন্যাশনাল স্টুডেন্ট অরগানাইজেশনের নেতৃবৃন্দ শিক্ষাথীদের মাঝে টিকেট বিতরণ করেন। প্রতি টিকেট এক ডলার। এ ব্যতিক্রমী খাবার মেলায় জাপান, ফ্রান্স, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মালয়েশিয়া, সুদান, তুরস্কসহ ২৫টি স্টুডেন্ট অরগানাইজেশন অংশ নেন। প্রতিটি দেশের জন্য মেনুতে ৩টি করে খাবার রাখার অনুমতি মেলে। নানা দেশের নানা পদের খাবার নিয়ে ভাসিটি ক্যাম্পাসে খাবার মেলা বসে। এতে শত শত ছাত্র-ছাত্রী,অভিভাবক উ্যসুক মানুষের ভিড় দেখা যায়। সবার হাতে-হাতে টু-গো বক্স। অনেকে ক্যাম্পাসে গাছের ছায়ায় বসে খেয়ে নিয়েছেন। যারা ক্লাস শেষে হোস্টেলের দিকে ছুটছেন তারা হাতে বক্স নিয়ে ছুটে যান। তবে সবাই এক চক্কর খাবার মেলা দেখে যেতে ভুলেননি। নানা দেশের ভিন্ন-ভিন্ন স্বাদের মুখরোচক এসব খাবার সবার মুখে দিতে কার না ইচ্ছে করে। সৈনিক পদে ছাত্রদের আগ্রহ বাড়াতে সামরিক স্টল খোলা হয়েছে। এতে কখন-কিভাবে-কোথায় সৈনিক নিয়োগ দেয়া হয় বিস্তারিত জানাচ্ছেন সামরিক কমকর্তারা।

পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে উচ্চশিক্ষা লাভের আশায় এ ভার্সিটিতে ছুটে আসেন শিক্ষাথীরা। একাধিক ছাত্র-ছা্ত্রীরে সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতি বছর শুধুমাত্র বাংলাদেশ থেকে অর্ধশতাধিক শিক্ষাথী আসেন। ইউরোপ –আমেরিকা ছাড়া এশিয়ার অন্যান্য দেশ থেকে ৫ শতাধিক ছাত্রছাত্রী উচ্চ শিক্ষা নিতে আসেন। এ ভাসিটিতে ৬০টি প্রোগ্রামে আন্ডারগ্রাজুয়েট এবং ৪০ প্রোগামে মাস্টার্স ডিগ্রীতে পড়ালেখার সুযোগ রয়েছে। অ্যারো স্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং প্রোগ্রামের জন্য রয়েছে অসীম সুযোগ।