মেরিল্যান্ড

চবি অ্যালামনাই ফোরামের বৈশাখী

mary3চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ফোরামের উদ্যোগে ভার্জিনিয়ার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাসন গভর্নমেন্ট সেন্টারে গত ৯ মে শনিবার, প্রথমবারের মতো উদ্‌যাপিত হলো বাংলা বর্ষবরণ ১৪২২। ফোরামের সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে বৈশাখী অনুষ্ঠানে ছিল বাংলার লোকজ কারুপণ্য প্রদর্শনী, গীতি-আলেখ্য, একক গান, নৃত্য, কবির লড়াই, র‍্যাফেল ড্র ও সান্ধ্যভোজ।
অর্ধ দিনব্যাপী এই আয়োজনের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন ফোরামের সভাপতি নুরুল আলম। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সর্দার কামরুল হাসান, আবিয়ার সভাপতি গোলাম মাওলা, বিদেশি অতিথি ডেবরা গ্রে, বাংলা স্কুলের সভাপতি ও ফোরামের সদস্য শামীম চৌধুরী ও বর্ষবরণ কমিটির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান খান।
ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সরোজ বড়ুয়া তাঁর বক্তব্যে ফোরামের উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য তুলে ধরেন এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি ফোরামের সব সদস্যদের মঞ্চে আহ্বান করে সকলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। এরপর সবাই এক সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণ করেন।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের মূল আকর্ষণ ছিল মিজান রহমানের সম্পাদনায় গীতি-আলেখ্য ষড়্ঋতুর বাংলাদেশ। তাঁর ধারা বর্ণনা ও নাসের চৌধুরীর সংগীত পরিচালনায় কোরাসে অংশগ্রহণ করেন খুকু, বুলবুল, সোহানা, নাসরিনা, রুম্পা, শিউলি, মাসুদ, সরোজ, সন্তোষ ও দীপক। বৈশাখের গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেন নাজমা মাওলা। তবলায় সহায়তা করেন আশিস বড়ুয়া ও বাঁশিতে ছিলেন মোহাম্মদ মজিদ।
এর আগে আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে উদ্বোধনী সংগীতের সঙ্গে ছোট ছোট শিশুরা মোমবাতি নিয়ে চমৎকার কোরিওগ্রাফি প্রদর্শন করে। বনানী চৌধুরীর পরিচালনায় কোরিওগ্রাফিতে অংশ নেয় দিয়া, রানীতা, নুসরাত, অতসী, সুসান, আনন্দী, অনুপমা, আঙ্কিতা ও আদিত্য।
গীতি-আলেখ্য শেষে একক নৃত্য পরিবেশন করেন নুসরাত, রুম্পা ও নাসরিনা। দলীয় নৃত্য পরিবেশন করে শিশুশিল্পী অতসী, সুসান, আনন্দী, আঙ্কিতা, অনুপমা, কৌশিক, বাঁধন, দিব্য ও আদিত্য। ভায়োলিনে বাজিয়ে শোনায় শিশুশিল্পী দিয়া ও দিব্য। একক গানের মূর্ছনায় দর্শক মাতান শ্রেয়সী, ঐশী, বুলবুল আক্তার ও কুলসুম আলম। অনুষ্ঠানের সর্বশেষ আকর্ষণ ছিল সন্তোষ বড়ুয়া ও সৌমিত্র বড়ুয়ার চট্টগ্রামের ভাষায় কবির লড়াই। র‍্যাফেল ড্রতে বিজয়ী হন সোমা, নাসরিনা ও অতসী।

অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন সোহানা ও জাফরিন। মঞ্চসজ্জার দায়িত্বে ছিলেন প্রবীর গুপ্ত ও আহসান আলম। সার্বিক শব্দ নিয়ন্ত্রণে ছিলেন শামিম চৌধুরী। আলোকচিত্রী ছিলেন রাজীব বড়ুয়া ও কামরুল ইসলাম। ভিডিও ধারণ করেন নিভা বড়ুয়া ও গোলাম মাওলা। রেজিস্ট্রেশনের দায়িত্ব পালন করেন শফিউল্লাহ ও মাসুদ। অনুষ্ঠানকে সফল করতে অন্যান্য আরও যারা দায়িত্ব পালন করেন তারা হলেন প্রণব, সুজিত, দীপক, রফিক, মোরশেদ ও রূপান্তর।
সবশেষে বৈশাখী সান্ধ্যভোজে আপ্যায়ন করা হয় চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী শুঁটকি, রুই মাছ ও মুগডালের মুড়িঘণ্টসহ নানাবিধ খাবার। ফোরামের সদস্যদের বাড়িতে তৈরি নানা রকমের ভর্তা, পায়েস ও মিষ্টিও যোগ হয় বৈশাখী ভোজে।