মতামত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা নাট্য চর্চা ও গবেষণা প্রসঙ্গে

প্রতিভার স্বীকৃতি পেলেন না নাট্যজন ড. কাশেম

zia-habib-ahsanসম্প্রতি স্বপরিবারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে নিউইয়র্কে কথা বলার সুযোগ পেয়েছি বাংলাদেশী মার্কিন নাগরিক বিশিষ্ট নাট্য গবেষক ও সমাজতত্ত্ববীদ ড. মুহামদ আবুল কাসেমের সাথে । আমরা উভয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র । একজন মানবাধিকার কর্মী ও লেখক হিসেবে তাঁর সাথে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয় ও আত্মীয়তার সম্পর্ক (ফুফাতো ভাই অপর মার্কিন নাগরিক সেলিমের ভায়েরা ভাই) বিদ্যামান । তিনি ও তাঁর স্ত্রী মিসেস হোসনে আরা বেগম আমার নিউইয়র্ক অবস্থান কালে জ্যামাইকার হিল সাইডে অবস্থিত বিখ্যাত বাংলাদেশী রেস্টুরেন্ট সাগর চাইনিজে এবং পরবর্তীতে তাঁদের বাসায় দু’দফা দাওয়াত দেন । সাক্ষাতের সময় তিনি তাঁর সদ্য প্রকাশিত নাট্য গবেষণা পুস্তক “আধুনিক বাংলা নাটকের ইতিবৃত্ত ও সমাজ চিত্র” আমাকে উপহার দেন । তিনি আমাদের প্রিয় শিক্ষক ও সমাজতত্ত্ববীদ প্রফেসর ড. অনুপম সেন স্যারের জন্যও একটি বই আমাকে হস্তান্তর করেন । তাঁর ৮ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রমে রচিত ১৮০০-২০১৫ সাল পর্যন্ত নাট্য গবেষণা সমীক্ষাটি উৎসর্গ করা হয়েছে বাংলা নাটকের অবিসাংবাদিক পাঁচ প্রবাদ পুরুষ যথাক্রমে – মুনির চৌধুরী, ড. আসকার ইবনে শাইখ, ড. সেলিম আলদীন, আবদুল্লাহ আল মামুন, জিয়া হায়দার এবং লেখকের শ্রদ্ধেয় পিতা মরহুম মাস্টার আবুল হোসাইন এর পুন্য স্মৃতির উদ্দেশ্যে । বিদেশের মাটিতে (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে) পেশাগত ব্যস্ততার মাঝেও আধুনিক বাংলা নাটকের উপর এমন গবেষণা অতীতে আর হয়েছে কিনা আমার জানা নেই । জনৈক মার্কিন নাগরিক সাংবাদিক ইমরান আনছারী বলেন, “এটি দুই বাংলার অনন্য সাধারণ নাট্য রচনা, ইতিহাস ও সমাজচিত্র । যা এক্ষেত্রে আমাদের গবেষণার বিরাট শুন্যতা পূরণ করেছে ।” ড. আবুল কাসেম নিউ ইয়র্কের সানফোর্ড ব্রাউন ইনস্টিটিউট -এর সাবেক ফ্যাকাল্টি মেম্বার ও নিউ ইয়র্কের এলেন স্কুল অব হেল্থ সাইন্সের ইন্সট্রাকটর হিসেবে কাজ করছেন। সন্দীপ চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণকারী সাহিত্য সাংস্কৃতিক, পরিমন্ডল ও নাটক এবং নাট্য জগতে বেড়ে উঠা ড. কাসেম ১৯৮৯ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.এস.এস এবং ১৯৯৫ সালে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল এক্সচেঞ্জ বৃত্তির অধীনে রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন । তিনি সিটি ইউনিভার্সিটি অব নিউইয়র্ক ব্রুকলিন কলেজে কম্পিউটার ও ইনফরমেশন সাইন্স থেকে এম এস প্রোগ্রামে অধ্যয়ন করেন । তিনি “ইসলামিক আর্ট এন্ড সাইন্স মিউজিয়াম বাংলাদেশ” স্থাপনে এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইসলামিক সমাজতত্ত্ব একটি স্বতন্ত্র কোর্স প্রোফাইল তৈরির নিমিত্তে কাজ করছেন । প্রবাসী বাংলাদেশীদের মাঝে ড. মুহাম্মদ আবুল কাসেম একজন কীর্তিমান ব্যক্তিত্ব । VOICE OF AMERICA. TBC এবং নিউইয়র্কস্থ WNYE রেডিও/ টিভি স্টুডিও প্রচার করেছে তাঁর স্বাক্ষাৎকার । চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণকারী এ গবেষক দীর্ঘ ২০ বছর ধরে নিউ ইয়র্কে স্ব-পরিবারে বসবাস করছেন । তিনি চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন ইউএসএ ইনক-এর সাবেক সভাপতি ও বাংলাদেশ জার্নালিস্ট এন্ড রাইটার্স এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট। ড. কাসেম “ডিগনিটি গোল্ড মেডেল”- এ সম্মানিত । তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন ইউএসএ এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় এলামনাই এসোসিয়েশন অফ নর্থ আমেরিকা কর্তৃক সাহিত্য গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য “স্বাধীনতা দিবস অ্যাওয়ার্ড-২০১০”এ ভূষিত হন । বর্তমানে তিনি নিউ ইয়র্কস্থ “অ্যালেন স্কুল অফ হেলথ সায়েন্স- ব্রুকলীন ক্যাম্পাস”- এ কম্পিউটার শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। ৪৯২ পৃষ্ঠায় সন্নিবেশিত এ রচনাটির সম্পাদনা করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কুন্তল বড়ুয়া, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, লেখক ও সাংবাদিক মনজুর আহমদ ও কথা শিল্পী তমিজ উদ্দিন লোদি। বইটির মূখবন্ধ লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান। তিনি বলেছেন, “বাংলাদেশের নাটক সম্পর্কে এ গ্রন্থে যে-সুবিস্তৃত আলোচনা আছে, অন্যত্র তা পাওয়া যায় না। গ্রন্থের এই অংশে অনেক অজ্ঞাতপূর্ব তথ্য ও কৌতূহলোদ্দীপক বিশ্লেষণের পরিচয় পাঠকেরা পাবেন”। একুশে পদক প্রাপ্ত, বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর, প্রফেসর ড. অনুপম সেন এই বই সম্পর্কে বলেন- “নাটক সমাজের চেতনা সৃষ্টির হাতিয়ার । এ গ্রন্থটির নাট্য বিশ্লেষণ থেকে এ অঞ্চলের সামাজিক ও রাজনৈতিক পটভূমি সুস্পষ্ট” । প্রফেসর ড. কুন্তল বড়ুয়া লিখেছেন, ড. মুহাম্মদ আবুল কাসেম এর এই গবেষণা কর্মটি এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, শুধুমাত্র নাট্য শিক্ষার্থী, নাট্যজন এবং বাংলা নাটক নিয়ে যারা ভবিষ্যতে এ ধরনের গবেষণা করতে চান, তাঁদের জন্য খুবই মূল্যবান সম্পদ। ১৭৯৫ সাল থেকে ১৯৪৪ সাল পর্যন্ত মোটামুটি একটি ধারাবাহিক ইতিহাস পাওয়া যায়। ১৯৪৪ সাল থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর আমাদের দেশে নবনাট্য আন্দোলন, গ্রুপ থিয়েটার চর্চার আগের যে ধারাবাহিক নাট্য চর্চা ছিলো, তাঁর ইতিহাস দুস্প্রাপ্য। বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সেই নাট্য ঐতিহ্য। এবিষয়গুলো লেখক তুলে এনেছেন দারুনভাবে। এ বইটি গবেষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য অমূল্য সম্পদ। তিনি আরো লিখেন, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বাংলা নাটকের ইতিহাস পড়াতে গিয়ে মাষ্টার মশাইদের হিমসিম খেতে হয়। এ ছাড়া ১৯৪৪ পর এই দেশে অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানে যে নাট্য চর্চা ছিলো, তার কোন ঐতিহাসিক গবেষণা কর্ম একেবারেই নেই। গবেষক এই গবেষণা কর্মটি সম্পন্ন করে আমাদের শুধু দায় মুক্তই করেননি, নাট্যকর্মী, গবেষক, নাট্যকলা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অপরিহার্য একটা অমূল্য গ্রন্থ উপহার দিয়েছেন। এই বইটির ৭টি অধ্যায়ে স্থান পেয়েছে আধুনিক নাটকের দু’শ বছরের ইতিহাস । চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরী বলেন- “বাংলা নাটক ও নাট্য সাহিত্য যাঁদের গৌরবময় অবদানে সমৃদ্ধ এবং বর্তমানে যারা সৃজনশীলতায় সক্রিয় তাঁদের যথার্থ পরিচয় পরিস্ফুট” । জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় আর্কিওলজী বিভাগের অধ্যাপক প্রফেসর ড. এ কে এম শাহ নাওয়াজ বলেন – “ড. কাসেমের গ্রন্থটি সমগ্র বাংলা নাটকের বিবর্তনের একটি সমৃদ্ধ দলিল” । ২১ শে ফ্রেবুয়ারী ২০১৬ ইং ৩৩৪১,৮৬ স্ট্রীট, জ্যাকসন হাইটস, নিউইয়র্ক, ইউএসএ থেকে কাশেম পাবলিকেশন কর্তৃক প্রকাশিত পুস্তকটির প্রচ্ছদ অংকন করেছেন প্রখ্যাত শিল্পী মোমিন উদ্দিন খালেদ ।

বইটি মূল্য ধরা হয়েছে ৭৫০.০০ টাকা। বইটি পাবার জন্য যোগাযোগ এর ঠিকানা বাড়ী নং ২০, লেইন-৬, ব্লক -এ হালিশহর হাউজিং এস্টেট চট্টগ্রাম । মোবাইল ০১৮১৭-৫৭১৭৫৭ । যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের যোগাযোগের ঠিকানা- ৩৩-৪১, ৮৬ স্ট্রীট , জ্যাকশন হাইটস, নিউ ইয়র্ক ১১৩৭২ । মোবাইল ৬৪৬-৬৪১-৩৮০৬ ।

আধুনিক বাংলা নাটকের উপর আট বছরের গবেষণা শেষে অবশেষে ছাপার অক্ষরে বাজারে এসেছে ড. মুহাম্মদ আবুল কাসেম রচিত ‘ আধুনিক বাংলা নাটকের ইতিবৃত্ত ও সমাজচিত্র; একটি সমীক্ষা (১৮০০-২০১৫)’ । বইটি প্রকাশ করেছে শব্দ শিল্প প্রকাশনী। বাংলা ভাষার গবেষকরা ইতোমধ্যেই বইটিকে দুই বাংলায় এ পর্যন্ত নাটক নিয়ে যতগুলো কাজ হয়েছে তারমধ্যে অনন্য সাধারণ কাজ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

বইটি নিয়ে লেখক লিখেছেন, নাটকের মাধ্যমে স্বচ্ছ ও সুস্পষ্টভাবে সমাজ ও দেশের অন্তর্জালা, মর্মদাহ, মূল্যবোধ, অসংগতি, স্বদেশ, স্বকাল, সমাজের কালচিত্র সুনিপুণভাবে পরিষ্ফুট করা যায়। নাটক হলো সমাজ ও মানব জীবনের দর্পণ। “আধুনিক বাংলা নাটকের ইতিবৃত্ত ও সমাজচিত্র : একটি সমীক্ষা (১৮০০-২০১৫)” গ্রন্থটিতে বাংলা নাটকের আদিপর্ব, সৃষ্টিকাল, ইতিহাস, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক কাঠামোর বিন্যাসে নাটকের গতিপ্রকৃতি, সমাজচিত্র এবং প্রাচীন, মধ্য ও আধুনিক যুগের ঐতিহ্যবাহী নাট্যধারার বিকাশক্রম বস্তুনিষ্ঠভাবে আলোচিত। যুগ পরিবর্তনের বহুমাত্রিকতার সূত্র ধরে আধুনিক নাট্যধারা উদ্ভবের কথা বর্ণিত হয়েছে। নাটকের তত্ত্ব, উৎস, প্রকরণ, ঐতিহ্য, ধারা প্রকৃতি এবং সমাজ-সমকালের প্রেক্ষিত সর্বদা বিবেচনায় ছিল। নাটকের বিষয়বস্তু, কাহিনী, বৈশিষ্ট্য, সংলাপ ও শৈল্পিক- আলঙ্কারিক দিক সমূহ তুলনামূলক বিশ্লেষণ করা হয়েছে। শিশু নাটকের গতি প্রকৃতি, কাব্য নাটকের রচনা শৈলী, লোকনাট্য ও পথনাটকের প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। বিশ্ব থিয়েটার আন্দোলনের গতি প্রকৃতি, বৈভব- প্রকরণ, বাংলা থিয়েটারের ক্রমবিকাশ, কার্যক্রম, প্রাপ্তি আলোচনা করা হয়েছে। বিশ্বশ্রুত নাট্যজনের নাট্য সাধনা, সৃষ্টিকর্মের বিশ্লেষণ রয়েছে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে। ড. আবুল কাসেম আশা প্রকাশ করেন, বাংলা নাটকের তথ্য সমৃদ্ধ এ’গ্রন্থটি নাট্যকার, গবেষক, ছাত্র, শিক্ষক, নাট্যকর্মীদের সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে সমাদৃত হলে তাঁর প্রচেষ্টা সার্থক হবে। ড. মুহাম্মদ আবুল কাসেম এর প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ১১টি । যার মধ্য উল্লেখ্যযোগ্য হচ্ছে – ১। ইবনে খলদুনঃ ইতিহাসের দর্শন সমাজতত্ত্বের স্থপতি ১৯৯৫, ২। শিক্ষা ও শিক্ষা ব্যবস্থাঃ প্রেক্ষিত বাংলাদেশ ১৯৯৭, ৩। অচেনা আকাশ ২০০৫, ৪। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের বিশ্বায়নঃ স্বরূপ অন্বেষা ২০১০, ৫। মানব সভ্যতা ও ভাষা বৈচিত্র্যঃ বিজ্ঞান, বাইবেল ও কোরআন, ৬। The Prophet Muhammad (SAW) of Islam: An Overview of Socio- Political Perspective, ৭। বিজ্ঞান বিচিত্রা । আরো ১০টি গ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায় আছে । নাট্যজন বন্ধুবর ড. আবুল কাশেম তাঁর প্রতিভার স্বীকৃতি পেলেন না নিজ জন্মভুমিতে । বাংলা একাডেমী অন্ততঃ তাঁর এ-অবদানের স্বীকৃতি দিতে কার্পণ্য করা উচিত নয় ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুস্তকটির উপর ইতিমধ্যে একটি পর্যালোচনা ও প্রকাশনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় । যেখানে বিপুল সংখ্যক বাংলা ভাষাভাষী সহ দেশী – বিদেশী লেখক, গবেষক ও নাট্যকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এবং এর ভূয়সী প্রশংসা করেন । চট্টগ্রামেও এর একটি প্রকাশনা অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি চলছে । বিশিষ্ট গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.কুন্তল বড়ুয়া বইটির বহুল প্রচারের প্রত্যাশা করেন যা বাংলাদেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচিতে তালিকা ভুক্তির যোগ্যতা রাখে । এই মুল্যবান গবেষণা কর্ম লেখককে নিশ্চয় ইতিহাসের পাতায় সম্মানের আসনটি করে দেবে । বইটি নিঃসন্দেহে বাংলা নাট্য সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ যা লেখকের আন্তরিকতা, অধ্যবসায় অনুসন্ধিৎসু মনের সার্থক ফসল, আমি তাঁর দীর্ঘায়ু ও পুস্তকটির সাফল্য কামনা করি ।
লেখকঃ আইনজীবী, কলামিস্ট, মানবাধিকার ও সুশাসন কর্মী ।
[email protected]