লস এঞ্জেলেস

লস অ্যাঞ্জেলেসের মুসলমানদের আশ্বস্ত করলেন সিটি মেয়র

los
লস অ্যাঞ্জেলেস সিটি মেয়র এরিক গার্সিটি মুসলমানদের প্রতি একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। গত ১০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ইসলামিক সেন্টার অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া মসজিদে জুম্মার নামাজের পর মেয়র সেখানে উপস্থিত হয়ে মুসল্লিদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন। এ সময় লস অ্যাঞ্জেলেসের পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা, শেরিফ বিভাগের কর্মকর্তাসহ অন্যান্য ধর্মের ধর্মগুরু ও যাজকেরা উপস্থিত ছিলেন। তারা বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে এসেছিলেন।
এরিক গার্সিটি মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের আশ্বস্ত করে বলেন, তিনি সব সময় মুসলমানদের পক্ষেÿছিলেন এবং আছেন। তাদের ভয়ের কোনো কারণ নেই। তিনি তাঁর রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই সকল ধর্মাবলম্বীর সঙ্গে কাজ করে আসছেন। এর আগেও তিনি এই মসজিদে বহুবার এসেছেন এবং প্রয়োজন হলে আবারও আসবেন।

এরিক গার্সিটি আরও বলেন, লস অ্যাঞ্জেলেসে বসবাসকারী মোট জনসংখ্যার ৭৩ শতাংশ অভিবাসী এবং এখানে প্রায় দুই শ ভাষায় মানুষ কথা বলে। এই সকল ভিন্নতা ধারণ করেও আমরা একটা ঐক্যবদ্ধ সম্প্রীতির সমাজ গড়তে চাই। যেখানে সকল মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারে।ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা ব্যানার হাতে মুসলমানদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করছেনভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা ব্যানার হাতে মুসলমানদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করছেন
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের আগে বলেছিলেন, তিনি জয়ী হলে দেশটিতে মুসলমানদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দেবেন। তারপর থেকে মুসলমানদের মধ্যে এক ধরনের অজানা আতঙ্ক ​ও অস্বস্তি বিরাজ করছে। ইসলামিক সেন্টার অব সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া মসজিদটি বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থিত বলে মুসল্লিদের বেশির ভাগই বাংলাদেশি। মেয়র এরিক গার্সিটির সঙ্গে বাংলাদেশিদের খুব ভালো সখ্যতা রয়েছে। সে কারণেই তিনি একাত্মতা ঘোষণা করতে এসেছিলেন।
শুক্রবারের জুম্মার নামাজে ইমামতি করেন গাসার হাথুত। গাসার হাথুত তার খুতবায় যুক্তরাষ্ট্রের সমাজে মুসলমানদের অবস্থান, অধিকার, দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতা সম্পর্কে আলোকপাত করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান থেকে অংশবিশেষ পড়ে শোনান যেখানে সকল ধর্ম ও বর্ণের মানুষের সমানাধিকারের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি তিনি পবিত্র কোরআনের বিভিন্ন আয়াত থেকে অংশবিশেষ পড়ে শোনান যেখানে মানুষের অধিকার সম্পর্কে প্রায় একই ধরনের মতামত রয়েছে। অন্য যেকোনো জুম্মার নামাজের চেয়ে এদিন মুসল্লিদের উপস্থিতি ছিল বেশি এবং সকলের চোখে-মুখেই ছিল একটি অজানা আতঙ্কের ছাপ।