ভার্জিনিয়া সংস্কৃতি ও বিনোদন

বাংলাদেশিরাই যেন আমার গান বেশি ভালবাসেন: শ্রীকান্ত

srikanta
বৃহত্তর ওয়াশিংটনের সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘রংতুলি’র আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য্যের একক সঙ্গীতসন্ধ্যা। রোববার ভার্জিনিয়ার স্প্রিংফিল্ড শহরের লি হাই স্কুল অডিটরিয়ামে শিল্পী শ্রীকান্ত প্রায় দুই ঘন্টা গান গেয়ে শোনান।

অনুষ্ঠান শেষে শ্রীকান্ত তার গান এবং সঙ্গীত জীবন সম্পর্কে বলেন, “আমি কখনও পরিকল্পনা করে কিছু করি না। এই মুহূর্ত পর্যন্ত যেমন চলছে আমিও তেমনি চলছি। একটা সময় আমি চাকরি করতাম। সেটা করতে গিয়ে এমন একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছেছিলাম যেখানে গান থেকে দূরে সরে যাচ্ছিলাম। চাকরির ধরনটাই ওই রকম ছিল। কলকাতার ছেলে হলেও আমাকে শহরের বাইরে থাকতে হত। প্রচুর ট্যুর করতে হত আমাকে। আমি পরে হিসেব কষে দেখেছি প্রতি মাসে বাইশ কিলোমিটার ট্রাভেল করতে হত।”

তিনি বলেন, “এই করতে গিয়ে আমার একটা সময় মনে হল যে কাজটি করতে আমি সবচাইতে ভালোবাসি সেটি হচ্ছে গান। তা আমার করা হয়ে উঠত না। এটা যখন ভাবনায় এল তখন হঠাৎ করেই আমি একদিন চাকরিটা ছেড়ে দিলাম। এটার মধ্যে কোনো বাহাদুরি ছিল না কিন্তু। বোকারা যেমন দুঃসাহস দেখায় আমিও সে রকম করলাম। আমার চাকরি ছেড়ে দেওয়ার পর কয়েক মাসের মধ্যে পরপর এমন কতগুলো ঘটনা ঘটল, যা ঘটবে বলে আমি কোনোদিন প্রত্যাশা করিনি।”

“ক্যাসেট কোম্পানি সাগরিকা আমাকে একসঙ্গে দুটি অ্যালবাম করার প্রস্তাব দিল। এই ঘটনাটি ছিল সবচাইতে অপ্রত্যাশিত। আমিও প্রস্তাবটি লুফে নিলাম। তৈরি হল ‘মনের জানালা’ ও ‘হে বন্ধু হে প্রিয়’। ক্যাসেট দুটি যখন রেকর্ডিং হচ্ছে সে সময় খবরটা কেউ জানত না, শুধু আমার স্ত্রী ও মা ছাড়া।”

শ্রীকান্ত আরও বলেন, “আমাদের পরিবার বরাবরই মামার বাড়ি ঘেঁষা। তারা ছিলেন বিক্রমপুরের।”

বাংলাদেশি শ্রোতাদের সম্পর্কে শ্রীকান্ত আচার্য্য বলেন, “আমি যদিও কলকাতার মানুষ। কিন্তু বাংলাদেশি দর্শক-শ্রোতারাই যেন আমারা গান দিয়ে আমার সাথে রিলেট করতে পারেন। তারা আমার গানগুলো বেশ উপলব্ধি করতে পারেন। বুঝতে পারেন। এজন্য বাংলাদেশ আর বাংলাদেশি শ্রোতাদের প্রতি আমার একটি বড় টান রয়েছে। ওরা যেন আমাকে বুঝতে পারে, সত্যিকারের শ্রীকান্ত আচার্য্যকে বুঝতে পারে। তাই বারবার আমি বাংলাদেশে যাই। বাংলাদেশি দর্শকদের কাছে ছুটে আসি।”

আয়োজক সংগঠনের শান্তণু বড়ুয়া বলেন, “বাংলাদেশ এবং ভারতীয় শিল্পীদের নিয়ে ‘রংতুলি’ অনুষ্ঠান করে। এতে দুই দেশের মধ্যে শিল্পীদের মধ্যে এমনকি দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি হয় এবং এটাই আমাদের আয়োজনের উদ্দেশ্য।”