পুলিশ বলেছে, বেলাইয়ার এভিনিউর কাছে শারমেন ওয়ের উপর ‘এ এ্যান্ড ডি লিকার মার্ট’-এ হত্যাকাণ্ডের শিকার হন রহীম। স্টোরের সিসি ক্যামেরার ছবি পরীক্ষা করে ঘাতকদের শনাক্ত করা সম্ভব হলেও এখন পর্যন্ত তাদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। হামলাকারী একজন নারী এবং একজন পুরুষ বলে পুলিশ জানিয়েছে। দোকান মালিককে উদ্ধৃত করে যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদ মাধ্যম বলছে, হামলাকারীই নারীই গুলি করেন রহীমকে। ‘এ এ্যান্ড ডি লিকার মার্ট’ একাজ করতের রহীম। এটি ডাকাতির ঘটনা বলে সন্দেহ করা হলেও ক্যাশ বাক্স থেকে কোনো অর্থ লুট হয়নি বলে জানা গেছে।
রহীমের মৃত্যুতে লস অ্যাঞ্জেলেস প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তিন মেয়ে ও এক ছেলের জনক রহীম গত ১৬ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের বসবাস করে আসছিলেন। তার দুই মেয়ে বাংলাদেশে থাকেন। দুই মাস আগে তিনি বাংলাদেশে গিয়ে মেয়েদের দেখে এসেছিলেন বলে জানান তার ছেলে ফাহিম। এই কলেজছাত্র বলেন, তার বাবার সঙ্গে কারও কোনো শত্রুতা ছিল না।
সুঠাম দেহাবয়বের রহীম একসময় বাংলাদেশে বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে কাজ করতেন। তার বাড়ি ঢাকার খিলগাঁওয়ে। ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ ঢাকায় পাঠানো হবে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। রহীমের মৃত্যুতে উদ্বেগ জানিয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা মমিন বাচ্চু বলেন, এখন থেকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। পুলিশি তৎপরতাও বাড়াতে হবে।
গত ১৩ অগাস্ট নিউ ইয়র্কে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় বাংলাদেশি ইমাম মাওলানা আলাউদ্দিন আকঞ্জি (৫৫) এবং তার সাথী থারা মিয়াকে (৬৪)। তারপর গত ১ সেপ্টেম্বর ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় নাজমা খানম ঝর্না নামে এক নারী। এই দুটি হত্যাকাণ্ডেই সন্দেহভাজনদের গ্রেপ্তার করেছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ।