আমেরিকা-বাংলাদেশ সম্পর্ক

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের ফ্যাক্টশিট

flaggবাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে একটি ফ্যাক্টশিট প্রকাশ করেছে আমেরিকা। সেখানে দুই দেশের যৌথ সম্পর্কের বিষয়ে বেশ কিছু দিকের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের এক সঙ্গে কাজ করার ইতিহাস বেশ লম্বা। চরমপন্থা, পরিবেশ পরিবর্তন, স্বাস্থ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে একত্রে কাজ করেছে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্র। তবে দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আরো কিছু দিকের কথা উল্লেখ করা হয়েছে আমেরিকার দেওয়া ফ্যাক্টশিটে।

ফ্যাক্টশিটে লেখা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সবচেয়ে বেশি শান্তিরক্ষী বাংলাদেশের দেওয়া, এই শান্তিরক্ষীরাই ইথিওপিয়া আর পূর্ব তিমুরের জনগণের মধ্যে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রেখেছে। জাতিসংঘের অন্তত ১০টি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশের প্রায় ৭০০০ সৈন্য রয়েছে।

ফ্যাক্টশিটে বাংলাদেশের মানবিক গুণাবলীরও প্রশংসা করা হয়। ২০১৫ সালে ঘটে যাওয়া নেপালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর ডাক্তার আর ত্রাণ নিয়ে কাঠমুন্ডুতে হাজির হয়েছিলো বাংলাদেশ। একইভাবে শ্রীলঙ্কা, জাপান, ফিলিপাইন ও মালদ্বীপের পাশেও দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ।

ফ্যাক্টশিটটিতে বাংলাদেশের মাতৃস্বাস্থ্য উন্নয়নেরও প্রশংসা করা হয়। বাংলাদেশ এরই মধ্যে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অর্জন করেছে। ইউএসএআইডি’র সহায়তায় বাংলাদেশ ১৯৯০ সালের পর মাতৃ ও শিশুমৃত্যুর হার ৬০ শতাংশ কমিয়ে এনেছে।

বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তার ব্যাপারেও সেখানে যথেষ্ট প্রশংসা করা হয়। ১৯৭১ সালের পর থেকে বাংলাদেশের উন্নয়নে যুক্তরাষ্ট্র ৬ বিলিয়ন ডলার প্রদান করেছে বলেও উল্লেখ করা হয়। বাংলাদেশকে সহায়তা দিতে যুক্তরাষ্ট্র বদ্ধপরিকর।

তাছাড়া ফিড দি ফিউচার, গ্লোবাল ক্লাইমেট চেঞ্জ এবং গ্লোবাল হেলথ ইনিশিয়েটিভ নামে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য নিয়েও বেশ কাজ করছে আমেরিকা।

বাংলাদেশের ৫৪৫৫ জন শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে যুক্তরাষ্ট্রে। তাদের ৬০ শতাংশই গ্র্যাজুয়েট করছেন ওখানে। আমেরিকায় পড়তে পাঠানো সেরা ২৫ টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে বলেও জানানো হয় ফ্যাক্টশিটে।