অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ- যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়েছে। উচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটির একঝাঁক তরুণ নৃত্য শিল্পীর মনমাতানো নৃত্য, গান, মি.কবরী দেবের কবিতা আবৃত্তি (নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ), বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাহারী পোশাকে ছোটমনিদের ফ্যাশন শো অনুষ্ঠানে অন্যরকম আবহ সৃষ্টি হয়। অনুষ্ঠানে সাহসিকতার জন্য উচিটা পুলিশ ডিপার্টমেন্টের আহত এক পুলিশ সদস্য Brian Arterburn অফিসারকে সম্মানিত করা হয়। এছাড়াও শিকাগো থেকে আসা জিংগে শিল্পী গোষ্ঠীর একক পরিবেশনা অনুষ্ঠানে ভিন্নমাত্রা যোগ করে। অনুষ্ঠানের ফাঁকে হলের সামনে বাঙালি ঘরানার নানা পদের খাবারে সাজানো স্টলে বাংলাদেশি ছাড়াও বিদেশিদের ভিড় দেখা যায়।
অনুষ্ঠানস্থলে ঢুকতে বাংলার ঐতিহ্য নানা রঙের ডুলা-কুলা, নকশিকাঁথা, রিকশা, ট্যাক্সি সবার নজর কাড়ে। ব্যতিক্রমী এ আয়োজনে বাঙালি ছাড়াও অনেক বিদেশী তরুণ-তরুণীরা নিজেদের মুখে বাংলার লাল-সবুজের পতাকা আঁকিয়ে নিতে দেখা যায়। জীবনে এই প্রথম নিজের গায়ে বাংলার শাড়ি জড়িয়ে নিজেকে বাঙালি ঘরানায় মানিয়ে নিয়েছেন উচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটির স্টুডেন্ট বডি প্রেসিডেন্ট Paiqe hungate। তিনি জানান, “পৃথিবীর নানা প্রান্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা বৈচিত্র্যময় জীবন-সংস্কৃতি যুগে-যুগে মানুষকে মুগ্ধ করেছে; আমিও তাঁদের একজন। আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।”
অনুষ্ঠানের শুরুতে বক্তব্য রাখেন মিড কন্টিন্যান্ট বাংলাদেশ এসোসিয়েশন (ক্যানসাস)-এর সভাপতি ড.আনওয়ার কে চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মাপেরা করিম, উচিটা অ্যাটর্নি Mr. Brad Pistotnick, বাংলাদেশ স্টুডেন্ট এসোসিয়েশনের উপদেষ্টা Dr. Visvakumar Aravinthan, বেথেল কলেজের প্রেসিডেন্ট Mr.john sheriff, রবার্ট জে ডোলা ভ্যা মেডিকেল সেন্টারের এসোসিয়েট চিফ ড. মুনির খাঁন, উচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটির সভাপতি রাকিবুর রহমান। তাঁরা বলেন, স্বাগতিক দেশের মূলধারায় অংশ নিয়ে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করা সময়ের দাবি। প্রবাসে বেড়ে ওঠা নতুন প্রজন্মকে বাংলার হাজার বছরের ঐতিহ্য পরিচয় করিয়ে দিতে এ ধরনের আয়োজন সত্যি প্রশংসনীয়। পুরো অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন আরেফা হক এবং নাদিয়া কে চৌধুরী।