ক্যানসাস

আমেরিকায় কৃষকের হাট!

প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার আগে আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্যের শহরে প্রাচীন এলাকায় ( ডাউন- টাউন) গ্রাম্ বাংলার আবহে তরতাজা শাকশবজী-ফলমূলের পসরা সাজিয়ে বসেন আমরিকার কৃষকরা। আমেরিকায় এখন গ্রীষ্মের শেষ হতে চলেছে। শুরু হবে শরত (ফল) । তাই এসময় আমেরিকার প্রায় প্রতিটি রজ্যে কৃষকের হাট (ফারমার মার্কেট) বসে থাকে। যা চোখে পড়ার মত। সপ্তাহে শনি-রবিবার দুদিন হাট বসে। সাধারণত: সময় বাঁচাতে ফাস্টফুড এবং বোতলজাত পানিীয় আমিরিকানদের খাদ্য তালিকায় এখনো বেশ জনপ্রিয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে , আমেরিকায় অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়ার কারণে ৩৫-৫৫ বছর বয়েসী মানুষ মুটিয়ে যাচ্ছে। এতে স্বাস্হ্য ঝুঁকি ও বাড়ছে।

ফলে স্বাব্হ্য সচেতন মানুষ ভোরে টাটকা (অরগানিক) শাকসবজি কিনতে কৃষকর হাটে ভিড় জমান। আমেরিকার মধ্যভাগের রাজ্য ক্যানসাসের উচিটা শহরের ডাউন-টাউনের ওয়ার্ল্ড মিউজিয়ামের সামনে প্রতি শনি-রবিবার এ হাট বসে।কলোরাডো থেকে রাতে ৪ ঘন্টা ড্রাইভ করে নেন্সি-ডেলি দুবোন নানা জাতের টমেটো নিয়ে উচিটা শহরে এ হাটে আসেন। তারা জানান, মা বাবার সাথে উচিটা শহরে থাকেন তাই নিজের বাগানের শাকসবজি বিক্রি সহ একঢিলে দুপাখি মারা হয়ে যায়। হাটে আসা ক্রেতাদের বিনোদনের জন্য ফোক সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়ে থাকে। খই (পপ করন) ভাজা, গরম চা কফি নিতে অনেকে ভোলেন না। মধু বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে নিয়ে অক্টোবর শেষ সপ্তাহ পযন্ত যথানিয়মে হাট চলে। কারণ এরপর থেকে প্রচন্ড ঠান্ডা শুরু হয়ে যায়।

বলা যায় ,আমেরিকা মহাদেশের এক-এক রাজ্যের প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য একেক রকম। প্রকৃতি অনুযায়ী ৫০ রাজ্যে এক-এক রকম শষ্য ভান্ডার রয়েছে। উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্হার কারণে খুব সহজে প্রতিটি রাজ্যে সব ধরণের তরিতরকারী পাওয়া যায়। ধনে পাতা থেকে শুরু করে আলু,টমেটো,লাউ,কুমড়া,পেপে – নানাজাতের শাক-সবজী । এছাড়াও হরেক রকমের কাঁচা মরিচ , শনা নিয়ে কৃষকরা হাটে আসেন।

ওয়ালমার্ট , ডিলন্স, কসকো’র মত চেইনশপগুলোতে কী নেই! সুই-সুতা থেকে নিয়ে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় যা দরকার সবই হাতের নাগালে পেতে কাস্টমারদের বেগ পেতে হয়না। তবুও মানুষ শেকড়ের সন্ধানে ছুটে চলে। মাঠির গন্ধ জড়ানো শাকসবজি-পেতে ভোরের আলো ফোটার সাথে এসব ফামার মাকেট বা কৃষকের হাটে চলে আসেন।

দামের ক্ষেতে কিছুটা ভিন্নতা থাকলেও চোখে দেখে টাটকা জিনিসপত্র কিনতে ক্রেতাদের ভিড় দেখা যায়।