সংস্কৃতি ও বিনোদন

আটলান্টিক সিটিতে মনোজ্ঞ কবিতা সন্ধ্যা

atlssযুক্তরাষ্ট্রের প্রকৃতিতে এখন গ্রীষ্মের বিদায়ী বার্তা। গত ২৪ অাগস্ট ,বুধবার এমন এক গ্রীষ্ম সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হলো অনুপম এক কবিতা সন্ধ্যা।নিউজার্সি অঙ্গরাজ্যের আটলান্টিক মহাসাগর বিধৌত আটলান্টিক সিটিতে ‘সাউথ জার্সি পয়েটস কালেকটিভ’ এর উদ্যোগে ষ্টকটন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘দানতে হল’এ দুই পর্বে এই কবিতা সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়।

‘দানতে হল’ সংলগ্ন গির্জার গ্র্যান্ড ফাদার ক্লকে বিকেল সাতটার ঘণ্টাধ্বনি বাজতেই ডায়াসে হাজির কবিতা সন্ধ্যার প্রাণ ভোমরা কবি এমারি ডিজিওরজিও ।প্রাণোচ্ছল এই তরুণীর প্রানবন্ত সঞ্চালণায় কবিতা সন্ধ্যার প্রথম পর্বে একে একে আঠারো জন কবি তাদের কবিতার ঝাঁপি খুলে বসেন।সেই ঝাঁপি থেকে একে একে বেরিয়ে আসে কবিদের অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে উচ্চারিত পংক্তিমালা। প্রেম-ভালোবাসা, রাজনীতি,সামাজিক অসঙ্গতি,যুদ্ধ-বিগ্রহ, দেশপ্রেমের এক অপূর্ব সংমিশ্রন ঘটে কবিদের উচ্চারিত পংক্তিমালায়,আর তা প্রাণ ছুঁয়ে যায় মিলনায়তনে উপস্থিত কাব্যপ্রেমীদের।প্রতিটি পরিবেশনা শেষে কাব্যপ্রেমীদের তমুল করতালিতে তার প্রমান মেলে। কবিতা সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের মূলধারার কবিকূলের সাথে কবিতা পাঠে অংশগ্রহন করেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সুব্রত চৌধুরী ও কবিতা সন্ধ্যার সর্বকনিষ্ঠ অংশগ্রহনকারী সপ্তম গ্রেডের ছাএ অদ্রি চৌধুরি।সম্প্রতি ‘নায়াগ্রা ফলস’ ভ্রমনের অনুভূতির উপর ভিত্তি করে অদ্রি চৌধুরির পঠিত কবিতা কাব্যপ্রেমীদের প্রশংসা কুড়োয়, আর তাই কবিতা সন্ধ্যার বিরতি পর্বে কাব্যপ্রেমীদের প্রশংসায় সে স্নাত হয়।

প্রথম পর্ব শেষে মিনিট দশেকের বিরতি।এই বিরতিতে কফি পাএে চুমুক দিতে দিতে কবিদের সাথে কাব্যপ্রেমীদের ভাবের আদান-প্রদান ঘটে।

কবিতা সন্ধ্যার দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে সঞ্চালক কবি এমারি ডিজিওরজিও আবারো ডায়াসে এসে দাঁড়ান। তিনি কবিতা সন্ধ্যার মূল আকর্ষণ কবি মাইকেল এইচ ব্রডার এর জীবনী ও তাঁর কাব্যচর্চার সংক্ষিপ্ত বিবরন কাব্যপ্রেমীদের সামনে উপস্থাপন করেন।তাঁর আহবানে আমন্ত্রিত কবি ডায়াসে এসে দাঁড়াতেই কাব্যপ্রেমীরা তুমুল করতালিতে তাঁকে অভিনন্দিত করে। কাব্যপ্রেমীদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়ে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী তিনি একে একে বেশ কয়েকটি কবিতা পাঠ করেন। তাঁর নান্দনিক ও শৈল্পিক পরিবেশনা কাব্যপ্রেমীদের মন ছুঁয়ে যায়, অন্যরকম এক ভালোলাগায় তারা আবিষ্ট হয়ে পড়ে।

রাত নয়টা বাজতেই কবিতা সন্ধ্যার পর্দা নামে।‘কবিতা যে প্রাণের অমিয় খোরাক’- তা আরেকবার প্রমানিত হলো এই কবিতা সন্ধ্যায়,আর তাইতো মিলনায়তন জুড়ে ছড়িয়ে থাকা ভালোলাগার রেনু গায়ে মেখেই পরিতৃপ্তির ঢেকুর তুলতে তুলতে কাব্যপ্রেমীরা ফিরে যান আপন নীড়ে।