আমেরিকা-বাংলাদেশ সম্পর্ক

নানা আয়োজনে দুঃসহ ৯/১১ আমেরিকান প্রবাসীদের স্মরণ

9112অশ্রুসিক্ত নয়নে দুঃসহ সেই ৯/১১-এর ভয়াল মুহূর্তকে স্মরণ করলেন আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এ উপলক্ষে নিউইয়র্কের বিভিন্ন স্থানে স্মরণসভাসহ আয়োজন করা হয় নানা অনুষ্ঠানের।

এদিকে, ৯/১১-এর হামলার ১৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে ১১ সেপ্টেম্বর ব্রঙ্কসের স্টারলিং বাংলাবাজার এভিনিউতে আয়োজন করা হয় দো’য়া মাহফিল ও স্মরণসভার। নিহত সেই সব মানুষের স্মৃতি স্মরণে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনসহ পালন করা হয় নীরবতাও।

বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশির অংশগ্রহণে দো’য়া মুনাজাত পরিচালনা করেন বাংলাবাজার জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব মাওলানা আবুল কাশেম এয়াহইয়া। দো’য়া-মুনাজাতে দেশ, প্রবাস ও বিশ্ব মানবতার শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়। অনুষ্ঠানে পবিত্র গীতা থেকে পাঠ করেন রতন কুমার চক্রবর্তী।

ব্রঙ্কস বাংলাদেশ কমিউনিটির আয়োজনে পরে স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ-আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আইনজীবী মো. এন মজুমদার মাস্টার অব ল’র সভাপতিত্বে এবং ব্রঙ্কস বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সভাপতি এন ইসলাম মামুনের পরিচালনায় এ স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মামুন’স টিউটোরিয়ালের প্রিন্সিপাল বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শেখ আল মামুন, ডাইরেক্টর ডা. নাহিদ খান, বাংলাদেশ-আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিলের সেক্রেটারি নজরুল হক, ডাইরেক্টর সাখাওয়াত আলী, এসেম্বলীম্যান হোজে রিভেরা, ডিস্ট্রিক্ট লীডার ক্যান অগাটা, ড. ডায়না নেভারসন, বিল হোসেন তুষার, আকসাদ আলী, আলেদা ফেরেজ, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট মির্জা মামুনসহ বিভিন্ন কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে নিউইয়র্ক এসেম্বলি ডিস্ট্রিক্ট ৮৭ এর জুডিশিয়াল ডেলিগেট ও বাংলাদেশি আমেরিকান উইম্যান এসোসিয়েশন’র প্রেসিডেন্ট রেক্সোনা মজুমদার, বাংলাদেশ কমিউনিটি অব নর্থ ব্রঙ্কসের সাধারণ সম্পাদক মনজুর হোসেন চৌধুরী জগলুল, প্রচার সম্পাদক বোরহান উদ্দিন, ব্রঙ্কস বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোজাফর হোসেন, সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, ব্রঙ্কস বাংলাদেশ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক নূর উদ্দিন, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট আলমাস আলী, আক্তারুজ্জামান হ্যাপি, লোকমান হোসেন লুকু, কাজী অদুদ আহমেদ, প্রিন্স, শাহ মাসুদ, আমিনুর রহমান, ফারজানা আক্তার, মো. আবু হেগেল, রনেন্দ্র তালুকদার পিঙ্কু, ফরিদ উদ্দিন ভূইয়া প্রমুখ।

বক্তারা গোটা বিশ্বের নিরাপত্তার ধারণায় বিপর্যয় সৃষ্টি করা ভয়াবহ ওই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানান।

তারা বলেন, ১৫ বছর আগে ঘটে যাওয়া সে ট্র্যাজেডি স্মরণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারা সম্মানের।

উল্লেখ্য, নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ারে ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে সন্ত্রাসী হামলা সংঘটিত হয়। দু’টি যাত্রীবাহি বিমান ছিনতাই করে সেখান থেকে টাওয়ার দুটি ধ্বংসের জন্য হামলা করা হয়। এবার ওই সন্ত্রাসী হামলার ১৫তম বার্ষিকী। হামলায় নিহত ২৭৫৩ জনের মধ্যে ৬ জন বাংলাদেশিও ছিলেন। ওই দিনে আরো দুটি স্থানসহ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের হামলায় নিহত হন সর্বমোট ২৯৭৭ জন। প্রতি বছরই ১১ সেপ্টেম্বর এদের স্মরণ করা হয়।

হোয়াইট হাউজ, কংগ্রেস, স্টেট এবং সিটির শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা ভিকটিমদের স্মরণ করেন।

প্রতিবারের ন্যায় এবারও সবচেয়ে বড় স্মরণ সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয় নিউইয়র্ক সিটির গ্রাউন্ড জিরোতে। যেখানে টুইন টাওয়ার অবস্থিত ছিল। বাংলাদেশি ভিকটিমদের স্বজনেরাও গ্রাউন্ড জিরোর স্মরণ সমাবেশে যোগ দেন। পরম মমতায় তাদের স্মরণ করার পাশাপাশি কামনা করেন বিদেহী আত্মার মাগফেরাত।